শিক্ষার্থীদের ক্ষতি বিবেচনায় শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। তাদের মতে, শিক্ষা ক্ষতি আরো বাড়লে ভবিষ্যতে তা সামালানো কঠিন হবে। তবে, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
স্থবির শিক্ষাখাত কিছুটা সরব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর প্রস্তুতি নিতে স্কুল-কলেজে পৌঁছেছে সরকারি নির্দেশনা। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলছেন শিক্ষাবিদরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ব্যস্তবতার নিরিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। এই সিদ্ধান্তেই এখন এগিয়ে যেতে হবে।
এক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও বলছেন তারা। স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মেনে চলা হবে? ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাদের। শিক্ষাবিদ ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে বেশ কিছু কার্যক্রম শেষ করতে হবে। দুই শিফট চালু করতে হবে। অর্ধেক শিক্ষার্থী সকালে ও অর্ধেক শিক্ষার্থী বিকেলে ক্লাস করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নিয়ে আসা অসম্ভব। তাই সেকশন করে এক একটি সেকশন একেক দিন ক্লাস করবে।
শিক্ষাবিদ ড. সিদ্দিকুর রহমান বলছেন, বৈশ্বিক সংকটের এই প্রেক্ষাপটে কোন সিদ্ধান্তই শতভাগ সঠিক হবে না। তবে, পরিকল্পনার যথার্থ বাস্তবায়ন সংকট অনেকটাই কমাতে পারে।
শুধু পরিকল্পনা করেই থেমে থাকলে চলবে না, কঠোর মনিটরিংয়ের কথাও বলছেন এই শিক্ষাবিদরা। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।